WB Panchayat Certificate Apply Online: পশ্চিমবঙ্গে এবার গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজে ইন্টারনেটের ব্যবহার শুরু হতে চলেছে। গ্রামের মানুষদের সুবিধার জন্য সরকার নতুন এক অনলাইন পরিষেবা চালু করতে চলেছে, যেখানে বিভিন্ন রকমের সার্টিফিকেটসহ অন্যান্য পরিষেবা ঘরে বসেই পাওয়া যাবে।
আপনার এই গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন সিস্টেমটির সম্পর্কে জানার জন্য আজকের এই প্রতিবেদনটি বিস্তারিত পড়ুন। পুরো তথ্যটি আমরা প্রথম থেকে একদম শেষ পর্যন্ত আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি।
অনলাইনে পঞ্চায়েতে পরিষেবা
(WB Panchayat Certificate Apply Online) বর্তমানে এখন টাকা লেনদেন থেকে শুরু করে চাকরির আবেদন পর্যন্ত সম্পূর্ণ সব ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। তবে গ্রাম পঞ্চায়েত বাবস্থায় এতদিন এই সুবিধা চালু ছিল না।
এখন থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে সরাসরি আবেদন করা যাবে। মোবাইল ব্যবহার করে সহজেই আবেদন করার পাশাপাশি সার্টিফিকেট ডাউনলোড করার সুযোগও থাকছে।
কোন সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করা যাবে ?
(WB Panchayat Certificate Apply Online) গ্রামবাসীরা এখন থেকে অনলাইনে যেসব পরিষেবা পেতে পারবেন, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- ইনকাম সার্টিফিকেট
- রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট
- ক্যারেক্টার সার্টিফিকেট
- সেম পারসন সার্টিফিকেট
- ডিসটেন্স সার্টিফিকেট
- কাস্ট সার্টিফিকেট
অনলাইন পরিষেবার সুবিধা
১) পঞ্চায়েত অফিসে না গিয়ে খুব অল্প সময়ে অনলাইনে কাজ করা যাবে।
২) গ্রামবাসীরা খুব সহজেই মোবাইল বা কম্পিউটারের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে।
৩) অনলাইনে কাজ হওয়ায় দুর্নীতি কমবে।
৪) গ্রামবাসীদের পঞ্চায়েতে লম্বা লাইনে দাঁড়ানোর ঝামেলা থাকবে না।
৫) দ্রুত পরিষেবা পেয়ে সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে।
Read More: এখন মেট্রো ধরে সোজা ব্যারাকপুর যাওয়া যাবে! কলকাতা মানুষদের জন্য বড় উপহার।
আবেদন পদ্ধতি
১) নীচে দেওয়া লিঙ্কে ক্লিক করে পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে।
২) সেখানে Panchayat Management System-এ ঢুকে Citizen Corner অপশনে যেতে হবে।
৩) আপনার নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে লগইন করতে হবে।
৪) যে সার্টিফিকেটটি দরকার, সেটির জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য ও নথি আপলোড করতে হবে।
৫) পঞ্চায়েত অফিস থেকে অ্যাপ্রুভাল মিললে সার্টিফিকেট ডাউনলোড করা যাবে।
Official Website – Click Here |
নতুন পরিষেবার লক্ষ্য
(WB Panchayat Certificate Apply Online) গ্রাম পঞ্চায়েতের অনলাইন ব্যবস্থা চালু করার প্রধান উদ্দেশ্য হলো গ্রামবাসীদের জন্য পরিষেবাকে সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী করে তোলা। এর ফলে মানুষকে অফিসে না গিয়ে বাড়িতে বসেই পরিষেবা পাওয়ার সুবিধা হবে।
এই অনলাইন পদ্ধতিটি বর্তমানে পরীক্ষার স্তরে রয়েছে। সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, খুব শীঘ্রই এই পরিষেবা চালু করা হবে।এই পরিষেবা চালু হলে গ্রাম পঞ্চায়েতের ব্যবস্থায় এক বড় পরিবর্তন আসবে এবং গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবনে সুবিধা বৃদ্ধি পাবে।