Duare Sarkar Camp 2025: পশ্চিমবঙ্গে আবার শুরু হতে চলেছে রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় উদ্যোগ ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির। এই উদ্যোগের মাধ্যমে রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসকারী মানুষের কাছে সরাসরি সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া হবে।
কবে শুরু হবে শিবির ?
সোমবার সন্দেশখালিতে একটি অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, জানুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত এই শিবির চলবে। তিনি বলেন, “সরকার মানুষের দরজায় পৌঁছে যাবে। যাতে আর সরকারি পরিষেবা পাওয়ার জন্য তাদের শহরের বড় অফিসে যেতে না হয়।”
কী কী পরিষেবা মিলবে ?
এই শিবিরে সাধারণ মানুষ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি পরিষেবা পাবে, যেমন-
- কাস্ট সার্টিফিকেট
- লক্ষ্মীর ভাণ্ডার
- স্বাস্থ্যসাথী কার্ড
- জমির দলিল
- কৃষকদের জন্য সাহায্য ইত্যাদি
যাঁরা এখনও এই সুবিধা পাননি, তাঁদের জন্য এই উদ্যোগ বিশেষভাবে কার্যকর হবে।
নতুন মহকুমার ঘোষণা (Duare Sarkar Camp 2025)
এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় নতুন একটি মহকুমা তৈরি করা হবে। এর ফলে স্থানীয় মানুষের জন্য আরও দ্রুত এবং সহজে সরকারি পরিষেবা পাওয়া যাবে।
সন্দেশখালিতে বিশেষ নজর
২০১৯ সালের পর সন্দেশখালিতে প্রথমবারের মতো মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত হন। তিনি বলেন, “যেসব এলাকায় নদী পেরোতে হয় বা যেখানে যাতায়াত কঠিন, সেখানেও এই শিবির হবে। আমাদের লক্ষ্য, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যেন উন্নয়নের জন্য এগিয়ে আসে।”
Read More: ভারতে আসছে সিটিজেন কার্ড! এটি সকলের জন্য বাধ্যতামূলক।
গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বিশেষ পরিষেবা
(Duare Sarkar Camp 2025) জানুয়ারি মাসে গঙ্গাসাগর মেলা উপলক্ষে বিশেষ সরকারি পরিষেবা প্রদান করা হবে। ১৪ থেকে ১৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলা চলবে। এরপর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মদিন (২৩ জানুয়ারি) এবং সাধারণতন্ত্র দিবস (২৬ জানুয়ারি) পালনের পরই ‘দুয়ারে সরকার’ শিবির শুরু হবে।
মানুষের জন্য সরকারের প্রতিশ্রুতি
‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে সাধারণ মানুষ খুব সহজেই বাড়ির কাছেই বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা পেতে পারবেন। এই উদ্যোগের মাধ্যমে সরকারের লক্ষ্য হলো মানুষের জীবনে আরও সহজে এবং দ্রুত পরিষেবা পৌঁছে দেওয়া। এবং কম সময়ের মধ্যে কাজগুলি সম্পূর্ণ করা।
রাজ্যের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপ (Duare Sarkar Camp 2025)
সরকারের এই পদক্ষেপ রাজ্যের মানুষের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে যাঁরা শহর থেকে দূরে থাকেন এবং বিভিন্ন পরিষেবা পাওয়ার জন্য সমস্যার মুখোমুখি হন, তাঁদের জন্য এই শিবির খুবই উপকারী হবে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের সরকার সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। এই শিবির সেই প্রতিশ্রুতিরই এক অংশ।”
শেষ কথা
রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিকে উন্নয়নের মূলস্রোতে নিয়ে আসতে বড় ভূমিকা নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এবং এই সরকার ভবিষ্যতেও মানুষের পাশে থাকার জন্য আশ্বাস দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
